মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলো থেকে সরকারি কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে জান্তা সরকার। কাচিন রাজ্যে জান্তা সেনাদের ঘাঁটি টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি। ব্যাপক সহিংসতার কারণে গত সপ্তাহ ধরে থান্ডওয়ে থেকে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সরিয়ে নিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। ইরাবতী।
বাসিন্দারা জানান, বড় বড় ট্রাকে করে সরকারি সব অফিস থেকে আসাবপত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। থান্ডওয়ের একজন বাসিন্দা বলেছেন, ‘জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের যন্ত্রপাতি এবং সরকারি কর্মীদের ওই এলাকার একটি ধর্মীয় হলে রাখা হয়েছিল। তাদের সরানো হচ্ছে। আমি তাদের ইয়াঙ্গুনে গাড়ি চালাতে দেখেছি। আমি এখন পর্যন্ত ৪৮টি ভারী যন্ত্রপাতির ইউনিট এখানে এসেছে।’ এর আগে গত ১৩ এপ্রিল টাউনশিপে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে থান্ডওয়েতে সরকার এবং আরাকান আর্মির মধ্যে কমপক্ষে ১০ বার সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে, কাচিন রাজ্যে সামরিক সেনাদের ঘাঁটি টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি। গেল এক সপ্তাহে তীব্র সংঘাতের পর রাজ্যটির ওয়াইংমও শহরের বেশিরভাগ সেনাঘাঁটি দখলে নেয়ার দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। সেখান থেকে পালিয়ে গেছে মিয়ানমারের সেনারা। ওয়াইংমও ছাড়াও মোমাক, মানসি ও তানাই শহরের একশর বেশি সেনা চৌকি দখলে নেয়ার কথা জানিয়েছে তারা।
অন্যদিকে, ভারত সীমান্তবর্তী আরও দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী চীন ন্যাশনাল আর্মি। অঞ্চলটিতে গেলো কয়েকদিন ধরে জান্তা সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ইরাবতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের সিখা ও টনজ্যং শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা।